পার্থ প্রতিম ভদ্র: ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর (৪০) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ভাঙ্গা থানায়। ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুজ্জামান ওরফে তাসকিন রাজু (২৬)। এ মামলায় নিক্সন চৌধুরীসহ আরও ১১০ জনকে নাম উল্লেখ করে এ মামলা করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিক্সন চৌধুরী ছাড়া এ মামলায় অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন (৫০), ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সবেক চেয়ারম্যান মো. কাওছার ভুইয়া (৫৫), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান (৫৫), ভাঙ্গা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান (৪৫), ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিরন হাওলাদার (৫৫), সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান (৫৫), সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোবাহান মুন্সী (৫০) রয়েছেন।
এ মামলায় নিক্সন চৌধুরী ও সাহাদাতকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয় আসামিরা হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় মামলাদিয়ে হয়রানী, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রদের বাড়িতে গিয়ে তাদের হত্যা ও গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। গত ৩ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বাদী নিজেসহ ভাঙ্গা কে এম এম কলেজ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভাঙ্গা কৈডুবি সদরদী এলাকায় রেলওয়ে সড়ক ক্রসিং সংলগ্ন পাকা রাস্তায় আন্দোলন করার সময় আসামিরা বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের আন্দোলন থামাতে বলে। আমরা রাজী না থাকায় সাহাদাতের নির্দেশে আসামিরা আমাদের দিকে গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় আমরা প্রণ রক্ষায় পালিয়ে যাই।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামীরা অত্যন্ত দাঙ্গাবাজ ও নির্যাতনকারি প্রকৃতির লোক হওয়ায় আমি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরবর্তিতে আন্দোলন করার সাহস পাইনি। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়সহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা জানে এবং প্রমাণ করিবে।
ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে ভাঙ্গা থানায় এ মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আগামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে, তবে আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।