হাবিবুর রহমান, পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার পূর্বধলায় একটি মন্দিরে আগুন দিতে গিয়ে হিন্দু এক যুবক কে আটক করেছে আনসার বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় জনতা। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বাড়হা ঘোষপাড়া কালী মন্দিরে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর করতে গিতে সরঞ্জামাদিসহ হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত নেপাল চন্দ্র ঘোষ (৩৪) উপজেলার জারিয়া ইউপির নোয়াপাড়া গ্রামের সুধীর চন্দ্র ঘোষের ছেলে। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় বিমল চন্দ্র বর্মন জানান, শনিবার আনুমানিক রাত ২টার হঠাৎ হাতুরি দিয়ে মন্দির ভাঙার শব্দ শুনতে পেয়ে আমরা ছুটে আসি। তখন কয়েকজন ছুটে পালিয়ে গেলেও নেপাল পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান তালকুদার বলেন, দেশকে অসম্প্রদায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য একটি চক্র কাজ করছে। তারা এখনও দেশকে পরিস্থিতিশীল করার ষড়যন্তে লিপ্ত রয়েছে। তবে বিএনপি সবাইকে সাথে নিয়ে এর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
আটককৃত নেপাল চন্দ্র ঘোষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বহিরাগত ৬ জন এবং স্থানীয় ২জন মোট ৮ জন ছিলাম। কৃষ্ণর ছেলে জয় আমাকে টাকার বিনিময়ে এই ঘটনার জন্য নিয়ে আসে। সবাই পালিয়ে গেলও আমি দেয়াল টপকিয়ে পরে পায়ে ব্যথা পেয়েছি।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত নেপালকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।