পার্থ প্রতিম ভদ্র: ফরিদপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে সাদিয়া আক্তার (২৩) নামে এক নারীর ডান হাতের কবজি কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারীকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সাথে সাথেই তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে স্থনান্তর করা হয়।
সাদিয়ার স্বামী ফরিদপুর সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের অধিনে গদাধরডাঙ্গী এলাকার বাসিন্দা রনি মন্ডলের স্ত্রী। রনি মন্ডলের সাথে সাথে গত পাঁচ বছর আগে পূর্ব আলীয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার শেখের মেয়ে সাদিয়ার সাথে তার বিয়ে হয়। এ দম্পতির চার বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পূর্ব আলীয়াবাদ গ্রামে রনি মন্ডলের (৫১) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আলীয়াবাদ ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রনি মন্ডল তার শয়ন কক্ষে স্ত্রী সাদিয়ার দুই চোখ বেধে এবং মুখ টেপ দিয়ে আটকিয়ে চাপাতি দিয়ে সাদিয়ার ডান হাত কব্জি থেকে আলাদা করে দেয়। পরে মুখের টেপ খুলে দিলে সাদিয়ার চিৎকারে তার শ^শুর শাশুরী এগিয়ে আসেন। এ সময় রনি মন্ডল পালিয়ে যান।
পরে এলাকাবাসী সাদিয়াকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালিত ট্রমা সেন্টোরে নিয়ে গেলে তাকে সাথে সাথে ঢাকার জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে স্থনান্তর করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র কানসালটেন্ট মো. এ হাসান বলেন, বুধবার ভোররাতের দিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কব্জি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সাদিয়াকে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সাথে সাথে তাকে ঢাকায় স্থানন্তর করা হয়।
সাদিয়ার বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, সাদিয়ার স্বামী নেশাগ্রস্ত। তিনি এর আগে সাদিয়ার চুল কেটে দেন, অরেকবার তাকে গরম ছ্যাকা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, তিনি এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ দেননি। মেয়ে একটু সুস্থ হলে তিনি এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, হাতের কব্জি কেটে ফেলার ঘটনায় থানায় আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।