পার্থ প্রতিম ভদ্র: রাজবাড়ী জেলার পাংশা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহা. আতাউল হক খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৯ লক্ষাধীক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত ফরিদপুর জেলা কাযালয় দুদক।
দুদক ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার বাদী হয়ে আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজবাড়ী বিশেষ জজ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০সহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মোহা. আতাউল হক বর্তমানে কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর চৌধুরী বাড়ি মহল্লার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধিনে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার অর্কোডিয়া এপার্টমেন্টে হাউজিং এস্টেটে বসবাস করেন।
আতাউল হক ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পযন্ত রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই কালেজে তাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে দুর্ণীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে বদলি করা হয়।
দুদকের এজাহার সুত্রে জানা যায় আতাউল হক পাংশা কলেজের দায়িত্বে থাকাকালে কলেজের পৌরকর বাবাদ ২২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪০টাকা উত্তোলন করে পৌরসভায় জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে পাংশা সরকারী কলেজে কর্মকালীন সময়ে সাজানো ভ্রমণ দেখিয়ে ৭ লাখ ১ হাজার টাকা ভ্রমণ ভাতা বিল ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ মামলাটি দয়ের করেন দুদক।
প্রতিবেদক বুধবার দুপুর পৌনে ২টা থেকে সোয়া দুইটা পযন্ত তিন দফা মুঠোফোন ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি পাংশা সরকারি কলেজের সাবেক পাংশা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আতাউল হক খান চৌধুরী। পরে খুদে বার্তা পাঠালে তিনি ফোনটি ধরেন। ফোন ধরে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইতে, ‘এটা মিছা অভিযোগ’-মন্তব্য করে মিটিং-এ আছেন বলে ফোনটি দ্রুত কেটে দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, পৌরকর বাবদ উত্তোলন করা ২২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪০ টাকা ও সাজানো ভ্রমণ ভাতার বিল বাবদ ৭ লাখ ১ হাজার টাকাসহ মোট ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪০টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাংশা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহা. আতাউল হক খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আজ বুধবার রাজবাড়ী বিশেষ জজ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করে দুদক।