নিজস্ব সংবাদাতা:
সরকারি নিয়মের বহির্ভূত নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে ধর্মপাশা সরকারি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক ফারুক হাসানের বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূত নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় ধর্মপাশা সরকারি কলেজের যখন ইংরেজি প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়, তখন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ফারুক হাসানের মাস্টার্স রেজাল্ট প্রকাশ হয়নি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় নড়েচরে বসেছেন সংশিল্প মন্ত্রণালয়। সূত্রে জানা যায় তার বেতন ভাতার নিয়োগ প্রক্রিয়ার গড়মিলের পাশাপাশি বেতনের ইনডেক্স রয়েছে জটিলতা। বর্তমানে কলেজটি সরকারি হলেও ফারুক হাসানের বেতন ইনডেক্স এতদিন স্কুলের ইনডেক্স অনুসরণ করা হয়েছে, যা সরকারি কলেজের জিওতে ধরা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়ীত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান তার সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া, ইনডেক্স খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ হলে ফারুক হাসানের সরকারি সকল সুবিধা আইনীভাবে ফেরত আনা হবে। এদিকে ফারুক হাসানের নিজ উপজেলা মদনে তার পিতা ইসলাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে রাজাকার ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে অনেক হিন্দু পরিবার তৎকালীন রাজাকার ইসলাম উদ্দিনের অত্যাচারে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে। ফারুক হাসানের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে কথা বল্লে প্রতিবেদককে জানান, যখন আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয় তখন আমার রেজাল্ট হয়নি তবে আমি অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তার বাবা রাজাকার ছিলেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ফারুক হাসান বলেন, তার চাচা মুক্তিযোদ্ধা তার বাবা রাজাকার ছিলেন না। এ নিয়ে এলাকায় নানাগুঞ্জন শুরু হয়েছে।